প্রকাশিত: Fri, Feb 24, 2023 2:03 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 11:43 PM

যুক্তরাজ্যের সবজি বাজারে সংকট, একসঙ্গে বেশী পরিমাণ কিনতে বারণ দোকানীদের

জাফর খান: ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক লিসা ফার্নস (৪৯) একজন ডিটক্স পানীয় (বিভিন্ন ফল,সবজি, ওষধি গাছ সমৃদ্ধ) ব্যবসায়ী । আর এটি  তৈরীর কাঁচামাল সবজি  কিনতে দোকানে গিয়ে তিনি দেখেন এরইমধ্যে সবজি ও ফল কেনার মাত্রা অতিক্রম হয়ে গেছে তার । আর তাই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। মেট্রো নিউজ 

একটি স্টোরে লেখা কেউ একসঙ্গে এ পরিমাণ শসা কিনতে পারবেন না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ফল ও সবজি ক্রয়ে একটি কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বৃটেন জুড়ে, আর কেউ এর বাইরে যেতে পারবেন না। ফার্নস নামক ক্রেতা বলেন, আমি একশটি করে শসা কিনতাম। কিন্ত তা আর পারছি না। 

তিনি ফেসবুকে সমালোচনা করে লিখেন, আমাকে আলদি স্টোর থেকে বেশি পরিমাণ সবজি ও ফল কিনতে বাধা দিচ্ছে। তিনজন ক্রেতা মাত্র ছয়টি শসা নিয়ে বাড়ী ফিরছেন । তবে তারা কোনো কিছু বলেননি। এসময় দুই ঘন্টা ধরে পাঁচটি স্টোর ঘুরে তিনি সবজি কিনেন। 

গত তিন বছর ধরে মার্সেসাইড প্রচুর পরিমাণ শসা ক্রয় করে থাকেন। তিনি অনলাইনে পানীয় বিক্রি করে থাকেন। এবার তাকেও পড়তে হয়েছে একই বাধার মুখে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সুপার মার্কেট ফল ও  অধিকহারে সবজি কেনার উপরে দিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। 

কিছু দোকানে টমেটোর সংকট দেখা যাওয়ায়  টেসকো  স্টোর নামে এক সবজির দোকানও এটির উপর সীমিত ক্রয় পদ্ধতি চালু করেছে। 

আলদি, আসদা, মরিসনের মত স্টোর গুলো ক্রেতারা মাত্র তিনটি করে লেটুস, গোলমরিচ, ব্রকোলি, সালাদ ব্যাগ, ফুল কপি, রাস্পবেরি, চীনাবাদাম কিনতে পারবেন বলে নোটিশও জারি করেছে। আর মরিসন জানিয়েছে দুটি করে মাত্র সবজি কিনতে পারবেন ক্রেতারা। 

 স্পেন ও উত্তর আফ্রিকাতে বন্যা ও তুষারপাতের কারণে উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান কৃষক নেতৃবৃন্দ। 

এ বিষয়ে জাতীয় কৃষক ইউনিয়ন সম্মেলনে এনভায়রোনমেন্ট সেক্রেটারি থেরেসা কফে বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা স্পেনের আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। আর সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ব্যাটার্স বলেন, অধিকহারে উৎপাদনের জন্য উৎসাহ যোগানোর পাশাপাশি বিষয়টি আরও সহজতর করা জরুরী বলে ভাবছি আমরা। 

লিদল স্টোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবাই যেন সমহারে সবজি নিয়ে বাড়ী যেতে পারেন তাই এ ব্যবস্থা চালু করেছি। তবে আমরা দুঃখিত চাহিদা অনুসারে যোগান দিতে না পারায়। 

উল্লেখ্য, কোভিডের সময়ও এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল দেশটির ক্রেতা সাধারণদের। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ